ট্রেকিংয়ে হাতেখড়ি -সালেহীন আরশাদী(পেপারব্যাক)
ট্রেকিংয়ে হাতেখড়ি -সালেহীন আরশাদী.সভ্যতা থেকে অনেক দূরে কোন দুর্গম অঞ্চলে যখন শেষ বিকালের আলো নিভে আসে তখন একটা মাথা গোঁজার ঠাইয়ের কথা ভাবতে হয়। সারাদিনের ক্লান্ত শরীর বিশ্রাম নিয়ে চায়, কিন্তু ক্ষিদে মিটাতে আগুন ধরিয়ে চুলায় রান্না বসাতে হয়। শুতে যাওয়ার সময় বুনো পরিবেশের নিস্তব্ধতা চিড়ে দেওয়া ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, সকালে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেওয়া পাখিদের কোলাহল আর সূর্যের প্রথম কিরণ এসবই আমাদের প্রকৃতির ছন্দের সাথে একাত্ম হতে শিখায়।
লেখক পরিচিতি
সালেহীন আরশাদী জন্ম: ১৯৮৯, পিতা: মােঃ সাবের আহমেদ, মাতা: আসমা আহমেদ। সালেহীন আরশাদীর জন্ম ও বড় হওয়া পুরােটাই নারায়ণগঞ্জে। তবে পড়াশােনার সূত্রে রাজধানীর হাওয়া বাতাস সবসময়ই গায়ে লাগিয়েছেন। ছােটবেলায় স্কুল থেকে বাসায় ফেরার সময়, একটু ঘুর পথে ফেরার। মধ্যে খুঁজে নিতেন অ্যাডভেঞ্চার। খেলনা ভাঙা ছিল শখ, কিভাবে সেগুলাে কাজ করে তা জানার আগ্রহ ছিল। যে। অনেক ‘নাইনটিজ কিডে’র মত মােস্তাফা গেমস খেলে অভিভাবকদের কাছে মারও খেয়েছেন। একটু পরিণত হবার পর থেকেই বইপত্র পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠে। এক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের সুধীজন পাঠাগার বড় অবদান রেখেছে। টিনটিন কমিক সিরিজ পড়ে প্রভাবিত হয়েছেন একসময়, এখনও প্রিয় চরিত্র ক্যাপ্টেন। হ্যাডক। অলস, অগােছালাে, পরােয়াহীন এসব অভিযােগ আছে তাকে নিয়ে। নিশ্চিত জীবন বেছে নিতে বরাবরই নারাজ। অবসর কাটে সমমনাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে। লেখালেখির ব্যাপারটা এখন মজ্জাগত। তার লেখা অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে ট্রেকিং ও পর্বতারােহণ জগতে নিজের পথে এগিয়ে যেতে। সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমের বাইরে ‘ট্রেকম্যানিয়াক’ নামক ব্লগে লেখেন। প্রথম কেওক্রাডং যান ২০০৫ সালে। এরপর ২০০৯ সালে ‘ট্র্যাভেলার্স অফ বাংলাদেশ’ নামে এক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে পরিচয়। পরিচয়ের। পর থেকে পাহাড়ের নেশা পেয়ে বসে। দেশের পাহাড়ের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রেক করার অভিজ্ঞতা আছে তার ঝুলিতে। ২০১২ সালে যােগী-জতল্যাং অভিযান থেকে ফেরার সময় সড়ক এক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসেন। কয়েকমাস বিছানায় ছিলেন। সেই সময়ই মনে বাসা বাধে হিমালয়। ২০১২-তে একবার ব্যর্থ হয়ে ২০১৩ সালে কানামাে পর্বত আরােহণ করেন। এরপর চাদর ট্রেক, ছিলেন কোয়েস্ট ক্লাবের সূচনালগ্নে। ২০১৪ সালে ক্লাব থেকেই যান থারপু চুলি। পর্বতারােহণের আল্পাইনিজম ধারায় বিশ্বাসী সালেহীন, স্বনির্ভর অভিযান ভালােবাসেন।
২০১৫: ডিওয়ে এক্সপেডিটর্সের সঙ্গে সার্ভে অভিযানে যােগদান
২০১৬: কোয়েস্ট ক্লাব থেকে ধাউলাগিরি সার্কিট, ধামপুস পিক আরােহণ
২০১৭: লাদাখে জো জংগাে ও শালদর রি অভিযান।
২০১৮: লাংতাং সার্কিট সােলাে ট্রেক
২০১৯: হিমালয়ের ৫৮০০ মিটারের একটা অনামি শৃঙ্গে আরােহণ
২০২০: চুলু ফার ইস্টে শীতকালীন অভিযান করেন।
২০২১: বাংলাদেশের তিন হাজার ফিটের সবগুলাে চূড়া আরােহণ সম্পন্ন করেছেন।
নিজেকে ভাল ছাত্র দাবি না করলেও পরীক্ষার আগের রাতে ঠিকই মন দিয়ে পড়তেন সালেহীন। বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন ঢাকার নটর ডেম কলেজে। এরপর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিষয়ে পড়াশােনা করেছেন। কাজ করেছেন বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানিতে। বর্তমানে পাহাড় পর্বত বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ‘অদ্রি’র কর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত আছেন।
Product Details
সভ্যতা থেকে অনেক দূরে কোন দুর্গম অঞ্চলে যখন শেষ বিকালের আলো নিভে আসে তখন একটা মাথা গোঁজার ঠাইয়ের কথা ভাবতে হয়। সারাদিনের ক্লান্ত শরীর বিশ্রাম নিয়ে চায়, কিন্তু ক্ষিদে মিটাতে আগুন ধরিয়ে চুলায় রান্না বসাতে হয়। শুতে যাওয়ার সময় বুনো পরিবেশের নিস্তব্ধতা চিড়ে দেওয়া ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, সকালে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেওয়া পাখিদের কোলাহল আর সূর্যের প্রথম কিরণ এসবই আমাদের প্রকৃতির ছন্দের সাথে একাত্ম হতে শিখায়।
আমাদের আটকে পড়া গৎ বাঁধা শহুরে জীবনের সাথে প্রাচীন যুগের যাযাবরদের মুক্ত জীবন যাপন পদ্ধতির একটি সংযোগ হচ্ছে ট্রেকিং। কোন ট্রেক শেষে ফিরে আসার পর এক অনাবিল আনন্দ সমস্ত সত্তা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে। নিজের জীবন সম্পর্কে জন্মায় এক নতুন ধারণা।
ট্রেক করার সময় অচেনা পরিবেশ ও পথে নানা রকম অনিশ্চয়তা রোমাঞ্চ হিসেবে আমাদের সামনে চলে আসে। আমরা এই অনিশ্চিত পরিস্থিতির সাথে কিভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারি এর উপরই ট্রেকিংয়ের আনন্দ পুরোপুরি নির্ভর করে। সেই আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে ট্রেকিং সম্পর্কিত বই ট্রেকিংয়ে হাতেখড়ি।
Specifications
Writer | সালেহীন আরশাদী |
Publisher | অদ্রি প্রকাশ |
Language | Bengali / বাংলা |
Country | Bangladesh |
Format | Paperback |
Edition | First |
Printed | January 2021 |
Pages | 222 |
Call for Enquiry: +8801302555180
ak.binoy1 –
The book is good?
ak.binoy1 –
The book is good enough…