কানাডায় কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করতে গিয়েছিলেন দুই বন্ধু। বিদেশে বসেও দেশের জন্য কিছু করার আকুতি সর্বক্ষণ তাড়া করতে থাকে তাদের। আর তা থেকেই জন্ম নেয় এক উদ্যোগের। সঙ্গে যোগ দেন আরও দুই বন্ধু। চার তরুণের মিলিত চেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠা পায় সফল এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের। তাদের এই স্বপ্নের নাম ‘স্টোরিয়া’।
২০১৩ সালে কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরিতে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করতে যান দুই বন্ধু শাহনেওয়াজ শাওন ও হাসিব বিন রফিক। শাওন ছিলেন আইইউটি’র গ্র্যাজুয়েট, আর হাসিব বুয়েটের। তাদের সঙ্গে যোগ দেন তাদের আরও দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ তারিফ ও আল আরমান। তারিফ ব্যবসা প্রশাসনের গ্রাজুয়েট আর আরমান আইইউটি থেকে সিএসই পাস করে দেশে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন সাত বছর ধরে।
ই-কমার্স খাতে গবেষণার সূত্রে তারা উপলব্ধি করেন আমাদের দেশে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে অনলাইন ব্যবসা আরো সহজ হতে পারে। আমাদের তরুণদের যে মেধা ও উদ্যম আছে তার সঠিক ব্যবহার করতে পারলে এই খাতে এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিকভাবে আরো সমৃদ্ধ হওয়া সম্ভব। এই ভাবনা থেকেই তারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা না করার সমস্যাটি চিহ্নিত করে তার একটি কার্যকর সমাধান তৈরির চেষ্টা করেন স্টোরিয়ার মাধ্যমে।
স্টোরিয়ার চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাসিব। তিনি স্টোরিয়ার মার্চেন্টদের খুব কাছ থেকে সেবা দেয়ার কাজটি তত্ত্বাবধান করছেন। শাওন চিফ টেকনলজি অফিসার হিসেবে স্টোরিয়ার প্লাটফর্মে নতুন নতুন ফিচার আপডেটসহ যাবতীয় টেকনিকাল বিষয় দেখাশোনা করছেন। সাথে আরো আছেন চিফ মার্কেটিং অফিসার তারিফ, যিনি মার্কেটিং ও যোগাযোগের ব্যাপারগুলো দেখছেন। স্টোরিয়ার প্রধাণ নির্বাহী হিসেবে আরমান কোম্পানির ভিশন অ্যান্ড মিশন অনুযায় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সার্বক্ষণিক সমন্বয় এবং এক্সটার্নাল অ্যাকটিভিটিজ পরিচালনা করছেন। এই টিমের প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাত বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। স্টোরিয়া টিমে ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে আরো ৮ জন যুক্ত আছেন।
আরমান বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স সেক্টর বা অনলাইনে পণ্যের বেচাকেনার জন্য একটি অগ্রসরমান খাত। তবে প্রযুক্তিগত কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য বিপুলসংখ্যক অনলাইন বিক্রেতা সঠিক উপায়ে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না।
আরমানের আইডিয়ার সাথে যোগ করে হাসিব বলেন, ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ক্ষুদ্র পরিসরে বিক্রি করতে পারলেও দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা পরিচালনায় সমস্যায় পড়ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। তারা নিজেরা ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠতে পারছেন না।
আড্ডায় এতোক্ষণ নীরব ছিলেন তারিফ। এবার তিনি বলেন, আমার মনে হয় উদ্যোক্তাদের সঠিক প্রক্রিয়ায় অনলাইন কেনাবেচা না হওয়ায় এই খাতে আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে। এখানে প্রয়োজন সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে তারা সুন্দরভাবে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি এবং অনলাইন ব্যবসার পুরো ম্যানেজমেন্টের প্রক্রিয়াটি সহজ, দ্রুততম ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে চার বন্ধু মিলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গড়ে তোলেন এক অভাবনীয় প্রযুক্তি ‘স্টোরিয়া’ প্লাটফর্ম।
স্টোরিয়া অফিসিয়ালি যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। অনলাইন ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফ্লেক্সিবল ফিচার এবং প্রাইসিং নিয়ে তিনটি ভিন্ন প্যাকেজ ‘স্বপ্ন’, ‘সাহস’ ও ‘সফল’-এর মাধ্যমে স্টোরিয়া তাদের সার্ভিস পরিচালনা করছে। এছাড়াও স্টোরিয়ার বিভিন্ন ফিচার, স্টোর সেট-আপ, সাপ্তাহিক ই-কমার্স ডাইজেস্ট, সফল উদ্যোক্তাদের গল্পসহ অনলাইন ব্যবসার নানা কলাকৌশল নিয়ে স্টোরিয়া ব্লগ (blog.storrea.com) চলছে শুরু থেকেই।
স্টোরিয়া বিজনেস মডেল সম্পর্কে আরমান বলেন, মডেল হিসেবে স্টোরিয়া একটি বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) প্লাটফর্ম। স্টোরিয়ার সকল সার্ভিস পরিচালিত হয় অনলাইন বিক্রেতাদের ঘিরে। এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিক্রেতার অনলাইন ব্যবসার পরিচালনা সহজ হলে, উদ্যোক্তারা সফল হলেই স্টোরিয়ার সাফল্য। যে কোনো বিক্রেতার জন্যই অনলাইন ব্যবসায় সফল হতে হলে চাই সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, যার মধ্যে মার্কেট রিসার্চ, বাজেট, স্ট্রাটেজি, পণ্য সোর্সিং, অনলাইন প্লাটফর্ম, মার্কেটিং, অপারেশন্স ইত্যাদি অংশ থাকে। এই সবকিছুই এক সূত্রে গাঁথা। এই ধরনের অনলাইন প্লাটফর্মের কার্যকারিতা তথা অনলাইন ব্যবসায় সফলতা অনেকখানি বিক্রেতার সচেতনতা, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করে। যারা ফেসবুকে পণ্য কেনাবেচার বাইরে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করতে চান, যারা ক্ষুদ্র থেকে শুরু করে ভবিষ্যতে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান, সেরকম ভিশনারি বিক্রেতারাই এই ধরনের প্লাটফর্ম থেকে উপকৃত হতে পারেন।
হাসিব যোগ করেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে স্টোরিয়া একদম নতুন একটি কনসেপ্ট, যেটি এসএএএস (সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস) নামে পরিচিত। বাংলাদেশে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরিতে বা অনলাইন বিজনেস সলিউশনের এধরনের সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি বা পে অ্যাজ ইউ ইউজ সিস্টেমের প্রচলন নেই। এসএএএস কনসেপ্টের সাথে পরিচিতি না থাকার কারণে অনেক আগ্রহী বিক্রেতাও এই ধরনের প্লাটফর্মে আসতে দ্বিধান্বিত থাকেন। তবে বিশ্বে এখন এন্টারপ্রাইজ সলিউশনের ক্ষেত্রে এসএএএস মডেল খুবই জনপ্রিয়। কারণ এই ধরনের সলিউশন খুব ইউজারফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে, বিনিয়োগের ঝুঁকি কমায় এবং অনলাইন বিক্রেতাকে বিজনেসের টেকনিকাল ব্যাপারাদি নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না।
অনলাইন ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে তারিফ বলেন, অনলাইন ব্যবসায় প্রধান প্রতিবন্ধকতা আসলে ক্রেতা-বিক্রেতার অনাস্থার সম্পর্ক, যার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন, নকল পণ্য, ক্রেতার জন্য রিটার্ন/এক্সচেঞ্জ পলিসি না থাকা, সময়মত পণ্য ডেলিভারি না দেয়া, বিক্রয়পরবর্তী সেবা, ভুয়া ক্রেতাদের থেকে অর্ডার, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছেই টাকা লেনদেনের প্রপার ট্রাকিং না থাকা ইত্যাদি। এগুলো দূর করার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতার মূল্যবোধ, সচেতনতা, ব্যক্তিগতভাবে অনলাইন ব্যবসার প্রশিক্ষণ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেনাবেচার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।
হাসিব বলেন, স্টোরিয়া প্লাটফর্মের প্রতিবন্ধকতার কথা যদি বলতে হয়, তাহলে বিক্রেতাদের এই ধরনের প্রযুক্তির সাথে আরো পরিচিতির প্রয়োজন আছে। যে কোনো নতুন প্রযুক্তির প্রচার-প্রসারে বড় অংকের মার্কেটিং বাজেট থাকা দরকার, প্রচুর টিউটোরিয়াল এবং ভিডিও প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজন আছে যেগুলো নিয়ে স্টোরিয়া কাজ করছে। দেশের তরুণদের তৈরি এই ধরনের প্লাটফর্মের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সার্ভিস দেয়ার মতো সম্ভাবনা আছে। তাই মিডিয়া, ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের সবার উচিত এই ধরনের প্রযুক্তি দেশবাসীর সামনে আরো বেশি করে তুলে ধরা।
যারা অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে চান এমন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই হলেন স্টোরিয়ার কাস্টমার। তবে রিটেইল শপ বা শোরুম নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন তারাও চাইলে স্টোরিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের অনলাইনে বিক্রির কার্যক্রম শুরু করতে পারেন বলে জানালেন আরমান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যারা ফেসবুক পেইজ, মার্কেটপ্লেস বা নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসায় জড়িত আছেন কিন্তু অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় সমস্যায় আছেন বা কারিগরি দিকগুলোর ম্যানেজমেন্টে অসুবিধায় আছেন তারাও এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইন ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট স্থান বা কালের ভেদাভেদ নেই, দেশের যেই প্রান্তেই থাকুন না কেন, এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন সহজেই।
স্টোরিয়ার বর্তমানে অবস্থা সম্পর্কে তারিফ বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরুর সময় স্টোরিয়ার সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৪ জন। পর্যায়ক্রমে স্টোরিয়া প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে নিত্যনতুন ফিচার এবং ওয়েবসাইট থিম। স্টোরিয়ার কাস্টমার সাপোর্টের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করছেন প্রায় ৯০ জন উদ্যোক্তা। এদের বেশিরভাগই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এছাড়াও এই প্লাটফর্মে সাইন-আপ করেছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জন। স্টোরিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করছেন এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম দেশফুলডটকম, ট্রেনডি-ট্রেকার.কম, ডায়াকেয়ার.শপ, সুলতানবিডিওয়ার্ল্ড.কম, ল্যাপটপপ্লাস.কম.বিডি, গুলশানবাজার.কম, গেমশপবিডি.কম, বুকসকুমিল্লা.কম, অন্যশপ.কম ইত্যাদি।
হাসিব বলেন, নতুন টেকনলজি এবং বিজনেস মডেল হওয়ার কারণে স্টোরিয়া শুরু থেকেই মার্কেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্টোরিয়া প্লাটফর্মে যুক্ত আছেন ঢাকার বাইরেরও অনেক উদ্যোক্তা। প্রতিদিন আমরা অনলাইন ব্যবসায় আগ্রহীদের ফোন পাচ্ছি। স্টোরিয়ার প্রায় শুরু থেকেই এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে দেশের প্রথম অনলাইনে ফুল বিক্রির উদ্যোগ দেশিফুল। সম্প্রতি স্টোরিয়া প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন গ্যাজেটের প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডি ট্রাকার, আরো আছে চ্যানেল আইয়ের ‘ভাগ্যলক্ষী’ প্রোগ্রামের উদ্যোক্তাদের পণ্যের মার্কেটপ্লেস সুলতানবিডিওয়ার্ল্ড। স্টোরিয়া তাদের মার্চেন্টদের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ ও সেমিনার করছে। দেশের বিভিন্ন স্টার্টআপ প্রতিযোগিতায় স্টোরিয়া অংশগ্রহণ করে। গ্রামীণফোন এক্সেলেরাটর, সরকারের আইসিটি ডিভিশনের কানেক্টিং স্টার্টআপস বাংলাদেশ, সিডস্টার্স ঢাকা, স্পার্ক বাংলাদেশ এ অংশ নেয় স্টোরিয়া এবং সবার কাছেই এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়। স্টোরিয়ায় চলছে নতুন বেশ কিছু ফিচারের সংযুক্তি, আগামী দিনগুলোতে স্টোরিয়া আরো গতি পাবে আশা করা যায়।
স্টোরিয়ার উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনার ব্যাপারটি সহজ করা। স্টোরিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কোন ধরনের কারিগরি জ্ঞান ছাড়াই বিক্রেতা এখন শুধু নিজের ওয়েবসাইটই তৈরি করতে পারছেন তা না, সাথে সাথে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার প্রয়োজনীয় সব উপাদানও ব্যবহার করতে পারছেন এক জায়গা থেকেই। স্টোরিয়া হয়ে ওঠেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সহজতম, দ্রুততম ও সাশ্রয়ী সমাধান।
আলাপ প্রসঙ্গে জানা গেল, স্টোরিয়া একটি নিজস্ব ফান্ডেড কোম্পানি। এই প্লাটফর্মের সেবাগ্রহীতাদের থেকে উপার্জিত আয় এবং নিজেদের ইনভেস্টমেন্টে কোম্পানিটি পরিচালিত হয়। তবে অদূর ভবিষ্যতে স্টোরিয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ নেবার ব্যাপারে আগ্রহী।
স্টোরিয়া দেশের শীর্ষ ই-কমার্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হতে চায়। সেই লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত প্লাটফর্মের ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে, সার্ভিসে বহু মাত্রা যোগ করার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী বছরেই এই প্লাটফর্মের সেবা দেশের বাইরে বিস্তৃত করতে চান স্টোরিয়ার উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশের কোম্পানি স্টোরিয়াকে বানাতে চান বিশ্বের একটি মাল্টিমিলিয়ন কোম্পানি।
(Collected)
Diamu Blog Team