বিশাল আকৃতির এক জাহাজের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে উঠানো হয়। জাহাজ মেরামতের করে সচল করতে মালিক চেষ্টার কোন ত্রুটি করতে থাকেন। কিন্তু কোন মতেই জাহাজের ইঞ্জিন সচল করতে পারছিলেন না। আজ এক ইঞ্জিনিয়ার তো কাল অন্য ইঞ্জিনিয়ার, পরশু আরেক ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কারো পক্ষেই এই বিশাল জাহাজটিকে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছিল না।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারা আপ্রাণ চেষ্টা করেও যখন কোন ভাবে ইঞ্জিন সচল করতে পারছিল না। বেশীর ভাগ ইঞ্জিনিয়ার ঘোষনা দিলে যে এই ইঞ্জিন মেরামত সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণই অকেজো। ঠিক সে সময়েই এক বৃদ্ধ ইঞ্জিনিয়ারের ডাক পরলো। কথিত আছে সেই বৃদ্ধা যৌবনকালে মৃতপ্রায় এমন অচল ইঞ্জিনের সচল করেছিল।
যথাসময়ে বয়োবৃদ্ধ ভদ্রলোক বিশাল এক যন্ত্রপাতির বাক্স নিয়ে হাজির হলো এবং দ্রুত কাজে নেমে পরিল। সে ইঞ্জিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সতর্কতার সাথে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা করে দেখলো। জাহাজের মালিক ভদ্রলোক সেও বৃদ্ধার সথে সসবসময় লেগে থাকলো। এবং বোঝার চেষ্টা করলো বৃদ্ধ কিভাবে এই অচল প্রায় জাহাজ মেরামত করবে
পরিদর্শন শেষ করে বৃদ্ধলোকটি তাহার বিশাল যন্ত্রপাতির বহর হইতে একটি ছোট্ট হাতুড়ি বের করলো। এবং ধীরে সুস্থে ইঞ্জিনের একটি নির্দিষ্ট একটি জায়গায় হাতুড়ি দিয়ে কয়েকটা আঘাত করিল। এবং আঘাতের স্থানটি পুনরায় পর্যবেক্ষন শেষে আরও একটি আঘাত করলো।
এবার ইঞ্জিনটি চালু করার জন্য বৃদ্ধ নিজেই ষ্টাটিংয়ের জন্য পাওয়ার সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনটি সচল হলো। কাজ শেষে বৃদ্ধ সাবধানে তাহার হাতুড়ি ব্যাগে রাখলো। জাহাজের মালিক তো বেজায় খুশি। অচল বাতিল প্রায় ইঞ্জিন পুনরায় সচল।
এক সপ্তাহ পর জাহাজের মালিক বৃদ্ধের মেরামত বিলটি হাতে পেল। এবং বিলের দিকে চোখ বুলিয়ে মালিক হতভম্ব হয়ে গেল। দুই লক্ষ টাকা। এ অসম্ভব ব্যাপার ! বুইড়া তো কিছুই করে নাই। সামান্য কয়েকবার হাতুড়ি পিটাইয়া এত টাকা চায় কিভাবে?
জাহাজের মালিক বৃদ্ধার কাছে বিলটি ফেরত পাঠালো। এবং বৃদ্ধকে অনুরোধ করলো “দয়া করে তালিকাবদ্ধ ভাবে বিলটি প্রদান করুণ।”
বৃদ্ধ জাহাজের ইঞ্জিন মেরামত বাবদ বিলটি পুনরায় তালিকাবদ্ধ ভাবে মালিকের নিকট পাঠালো।
বৃদ্ধার বিল:
হাতুড়ির আঘাত বাবদ …………………………………………………………….৫০০.০০ টাকা
কোথায় হাতুড়ির আঘাত করতে হবে সেটা জানার জন্য ……..১,৯৯,৫০০.০০ টাকা
মোরাল অব দ্যা স্টোরি: অভিজ্ঞতার মূল্য পুঁথিগত জ্ঞানের চেয়ে অনেক বেশী মূল্যবান।
তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট।
Posted in: Diamu Blog